আইন বিভাগের কাজ আইন প্রণয়ন, আইন সংশোধন, আইন পরিবর্তন করা।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইংরেজি নাম- Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs
বাংলাদেশের আইনসভার নাম - জাতীয় সংসদ (House of the Nation)।
জাতীয় সংসদের ১নং আসন- পঞ্চগড় জেলায় এবং ৩০০নং আসন- বান্দরবান জেলায় অবস্থিত।
ঢাকা জেলায় জাতীয় সংসদের আসন সবচেয়ে বেশি- ২০টি।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জাতীয় সংসদের আসন আছে- ১৫টি।
সবচেয়ে কম আসন (১টি করে) রয়েছে- তিন পার্বত্য জেলায়।
আইন প্রণয়নের পদ্ধতি ২টি- জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ জারি ।
দেশের নীতি নির্ধারণের জন্য সর্বোচ্চ পরিষদ হলো- ক্যাবিনেট বা মন্ত্রিসভা।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রতীক- শাপলা।
সংসদের অধিবেশন
সংবিধানের ৭২ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক অধিবেশন আহ্বান করেন- রাষ্ট্রপতি |
অধিবেশন আহ্বান করা হয়- সংসদ সদস্যদের যেকোন সাধারণ নির্বাচন ঘোষিত হবার ৩০ দিনের মধ্যে।
দুই বৈঠকের মধ্যে ৬০ দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকবে না।
প্রথম বৈঠকের পর ৫ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে।
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ
প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশনের সূচনায় সংসদে ভাষণ প্রদান করবেন।
প্রত্যেক বছর প্রথম অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ প্রদান করবেন। (৭৩ নং অনুচ্ছেদ)।
সংসদে স্থায়ী কমিটি
সংসদে স্থায়ী কমিটির সংখ্যা ৫০টি।
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ৩৯টি।
সংসদ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ১১টি ।
বিদেশি অতিথি
জাতীয় সংসদে এ পর্যন্ত ২ জন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বক্তৃতা প্রদান করেছেন
যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি মার্শাল যোশেফ টিটো (১৯৭৩)
ভারতের প্রেসিডেন্ট ভারাহগিরি ভেঙ্কট গিরি (১৯৭৪)
ওয়াক আউট
বিরোধী দলের সদস্যদের সরকারি যাবার ঘটনাকে বলে ওয়াক আউট। কোন সিদ্ধান্ত বা স্পিকারের রুলিং এর প্রতিবাদে সংসদ থেকে বের হয়ে
সরকারি দলের সদস্যরাও ওয়াক আউট করতে পারেন।
সংসদীয় গণতন্ত্রে ওয়াক আউট সদস্যদের অধিকার বলে স্বীকৃত।
সংসদ বর্জন
বিরোধী দলের আন্দোলনের ভিত্তিতে সংসদের অধিবেশন বর্জন করতে পারেন।
সংসদ সদস্যগণ সুনির্দিষ্ট দাবীতে অথবা স্পিকারের কোন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের প্রতিবাদে সাময়িকের জন্য সংসদ হতে বের হয়ে যেতে পারেন।
ফ্লোর ক্রসিং
ফ্লোর ক্রসিং হলো নিজ দলের বিপক্ষে ভোটদান বা অন্য দলে যোগদান।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফ্লোর ক্রসিং করলে সেই সংসদ সদস্যের পদ শূন্য হয়ে যায়।
ট্রেজারি বেঞ্চ
সংসদ কক্ষের সামনের দিকের আসনগুলোকে বলা হয়- ট্রেজারি বেঞ্চ বা ফ্রন্ট বেঞ্চ।
সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ সামনের সারিতে বসেন।
স্পিকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ।
স্পিকারের এর বিপরীত দিকে সামনের সারিতে বসেন বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা, হুইপ ও অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ।
বিল
আইন প্রণয়নের জন্য সংসদে উত্থাপিত খসড়াকে বলে- বিল।
বিল দুই ধরনের হয়- সরকারি বিল ও বেসরকারি বিল।
সরকারি বিল উত্থাপন করেন মন্ত্রীগণ (অনুমোদন- ৭ দিন প্রয়োজন)।
বেসরকারি বিল উত্থাপন (১৫ দিন প্রয়োজন) করেন উত্থাপন জাতীয় সাংসদগণ ।
বেসরকারি বিল উত্থাপিত হয় শুধু বৃহস্পতিবারে।
চিফ হুইপ
সংসদের চিফ হুইপের মর্যাদা একজন পূর্ণ মন্ত্রীর সমান।
হুইপ দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী।
জাতীয় সংসদের প্রথম চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং বর্তমান চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
বিরোধী দলের আন্দোলনের ভিত্তিতে সংসদের অধিবেশন বর্জন করতে পারেন।
সংসদ সদস্যগণ সুনির্দিষ্ট দাবীতে অথবা স্পিকারের কোন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের প্রতিবাদে সাময়িকের জন্য সংসদ হতে বের হয়ে যেতে পারেন।